পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন

রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী বন্টন নিয়ে জটিলতার মধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় রুট মার্চ শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। জলপাইগুড়ি, বাঁকুড়ার ইন্দাস, আরামবাগ, ভাঙড়ে শুরু হয়েছে রুটমার্চ। এর মধ্যেই প্রার্থীদের প্রচারে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।  নির্দেশিকায় বলা হয়েছে ভোটের প্রচারে জেলা পরিষদের প্রার্থীরা চার চাকার গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন। পঞ্চায়েত সমতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থীরা ২ চাকার গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন। রোড শোয়ের সময় ৪টি গাড়ি ব্যবহার করা যাবে। গাড়ির ব্যবহার নিয়ে এরকমই একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল নির্বাচন কমিশন। সেইসব নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে জেলাগুলিতে। সেখানে বলা হয়েছে একমাত্র জেলা পরিষদের প্রার্থীরাই চার চাকার গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন। গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীরা চার চাকার গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন না। তাদের ব্যবহার করতে হবে ২ চাকার গাড়ি। প্রচার শুধু নয়, ভোটের দিনও একই নিয়ম মেনে চলতে হবে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে প্রার্থীরা কনভয় নিয়ে বুথে যেতে পারবেন না। প্রার্থী যে গাড়ি ব্যবহার করবেন সেই গাড়ি করে কোনও ভোটারকে বুথে আনা যাবে না। এবার বাইক মিছিলও করা যাবে না। প্রার্থীরা যদি মিছিল করেনও তাতে ৪টির বেশি বাইক বা গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন না। এর অন্যথা বলে আইনগত ব্য়বস্থা নেওয়া হবে। এদিকে, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রুট মার্চ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েত সহ বিভিন্ন জায়গায় শনিবার বিকেলে এলাকার মানুষদের নির্ভয়ে ভোট দানের আবেদন করে পুলিস ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ শুরু হয়েছে বাঁকুড়ার ইন্দাসেও। কেন্দ্রীয় বাহিনীর দল দুটি ভাগে ভাগ হয় ইন্দাসে থানা এলাকায় দুটি স্থানে রুট মার্চ করে। শুক্রবার বাঁকুড়ায় ১ কোম্পানি সিআরপিএফ বাহিনী হাজির হয়। বাঁকুড়া সদর থানায় ও বেশ কিছু এলাকায় রুট মার্চ করে বাহিনী। শনিবার বিকেলে ইন্দাসের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু করে রুট মার্চ। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে সামনে রেখে নদিয়ার রানাঘাটের কলেজেও এসে উপস্থিত হয়েছে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। পুলিস সূত্রে খবর আরও বাহিনী আসবে। ওদিকে কেন্দ্রের পাঠানো ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী কোথায় যাবে এখনও সেই সিদ্ধান্ত নেয়নি কমিশন। ফলে এখন সেই রাজ্যগুলিতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী আছে। পাশাপাশি, আরও যে ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী চাওয়া হয়েছে, তা আদৌ আসছে কি না, সেই নিয়েও প্রশ্ন। গতকালের লেখা চিঠির পর বিকেল গড়ালেও আজও উত্তর আসেনি। বাহিনী কবে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। 

error: Content is protected !!