
হুইলচেয়ার না মেলায় বিমানবন্দরে পড়ে গিয়ে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বৃদ্ধার, আইসিইউতে চিকিৎসাধীন
ফের বিতর্কে এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রী পরিষেবা। দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক অশীতিপর হাঁটাচলার সমস্যায় ভোগা বৃদ্ধাকে হুইলচেয়ার না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই বৃদ্ধা এরপর বিমানবন্দরে পড়ে গুরুতর আহত হন বলে দাবি। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে আইসিইউয়ে। বৃদ্ধার নাতনি পারুল কনওয়ার সোশাল মিডিয়ায় এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগে সোচ্চার হয়েছেন। পারুলের দাবি, গত ৪ মার্চ ঠাকুমাকে নিয়ে তিনি বিমানবন্দরে যান। কিন্তু শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে বৃদ্ধার হাঁটাচলার সমস্যার কারণে হুইলচেয়ার চাওয়া হয়। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা হয়নি। বাধ্যতই হেঁটেই টি৩ পার্কিং লেন পার হয়ে এগোতে যান বৃদ্ধা। শেষপর্যন্ত আর চলতে না পেরে কাঁপতে কাঁপতে মাটিতে পড়ে যান তিনি। এবং এরপরও নাকি কেউ সাহায্য করতে আসেননি। এমনকী, প্রাথমিক চিকিৎসাটুকুও মেলেনি। সংস্থার কর্মীরা বলেন, চিকিৎসা নিতে হলে চিকিৎসা পরিষেবার যে ঘর সেখানে যেতে হবে। পরে অবশ্য বৃদ্ধার জন্য হুইলচেয়ারও আসে। এবং যথাযথ চিকিৎসা ছাড়াই বৃদ্ধাকে বিমানে তুলে দেওয়া হয় রক্তাক্ত ঠোঁট, মাথা ও নাকের চোট-সহ! তবে বিমানে বিমানকর্মীরা তাঁকে বরফ দিতে সাহায্য করেন। বেঙ্গালুরুর বিমানবন্দরে পৌঁছনোর পর প্রাথমিক চিকিৎসাও দেওয়া হয়। দুটি সেলাইও পড়ে। আপাতত হাসপাতালে রয়েছেন ওই বৃদ্ধা। জানা গিয়েছেন, মস্তিষ্ক রক্তক্ষরণ ঘটেছে তাঁর। শরীরে বামদিক খুবই দুর্বল। এই পরিস্থিতিতে পারুল আইসিইউয়ে বসেই পোস্টটি করেছেন। সেখানে তাঁকে লিখতে দেখা গিয়েছে, ‘আমাকে এটা পোস্ট করতেই হল কেননা আমার আর কোনও উপায় ছিল না। মানুষের জীবন ও সুস্থতাকে এত কম গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে দেখে রাগ হচ্ছে। এয়ার ইন্ডিয়া, আমার ঠাকুমার সঙ্গে এত খারাপ আচরণ করা হল!’