
মহারাষ্ট্রে লাউড স্পিকার নিয়ে প্রতিবাদ করায় মহিলা আইনজীবীকে বেধড়ক মারধর গ্রাম প্রধানের
উচ্চ স্বরে বাজছিল লাউড স্পিকার। এরই প্রতিবাদ করেন ওই আইনজীবী। এই নিয়ে প্রতিবাদ জানানোর কারণে ওই মহিলা আইনজীবীকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ উঠেছে গ্রামের প্রধান (সরপঞ্চ) এবং তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে। মহারাষ্ট্রের বিদ জেলার ঘটনা। এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। অন্য দিকে, এই ঘটনার পরে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশকে নিশানা করেন বিরোধীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, জ্ঞানেশ্বরী অঞ্জন নামে ওই আইনজীবীকে মারধর করার ঘটনা ঘটেছে বিদ জেলার অম্বাজোগাইয়ের সানগাঁও গ্রামে। সেই গ্রামের মন্দিরে একটি অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে উচ্চ স্বরে লাউড স্পিকার বাজানো হয়। এর ফলে যে শব্দ দূষণ হয় তার প্রতিবাদ জানান ওই মহিলা আইনজীবী। তার বাড়ির কাছে তিনটি আটা মিল বসানো হয়। এই নিয়েও আপত্তি জানিয়েছিলেন তিনি। এই কারণেই ওই আইনজীবীকে লাঠি এবং পাইপ দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই মারের পরে বেশ কিছুক্ষণ তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে ছিলেন বলেও সূত্রের খবর। ওই আইনজীবী পিঠে গুরুতর আঘাত লেগেছে। তাঁকে ওইভাবে মারধর করার পরে পিঠের ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওই ছবি দেখেই মহারাষ্ট্রর সরকারে তুমুল সমালোচনা করেছেন নেটিজ়েন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। শুক্রবার এই নিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউসুফ ওয়াদগাঁও থানার আধিকারিক মচিন্দ্রনাথ শিন্ডে । তিনি জানান, এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই গ্রামের প্রধান-সহ অভিযুক্তরা পলাতক বলেও জানিয়েছেন তিনি। অন্য দিকে, এই ঘটনা নিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেন সেই রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতি হর্ষবর্ধন সপকাল। একজন মহিলা আইনজীবীই যদি সেখানে সুরক্ষিত না হন তাহলে অন্যদের কী অবস্থা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। একই অভিযোগ এনসিপি (শরদ পাওয়ার) দলের সাংসদ অমল কোলহের।