
এবার ট্রাম্পকে ইরানের পালটা হুঁশিয়ারি
পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসলেই ভালো, অন্যথায় খারাপ হবে। এমনই বার্তা দিয়ে ইরানের উপর চাপ বাড়িয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার তাঁকে পালটা হুঁশিয়ারি দিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেস্কিয়ান। জানিয়ে দিলেন, ”আমি দরাদরিতেই যাব না। আপনাদের যা করার করে নিন।” সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলার সময় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”ওরা আমাদের হুকুম করবে আর হুমকি দেবে এটা মেনে নেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আমি ওদের সহ্গে দরাদরিই যাব না। যা করার করে নিক ওরা।” একই কথা বলতে শোনা গিয়েছে ইরানের সুপ্রিম লিডার আয়াতোল্লা আলি খামেনেইকে। তিনি দাবি করেছেন, তেহরান কোনও রকম দরাদরিতে যাবে না। গত শুক্রবার এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে ইরানের প্রতি নরমে-গরমে হুমকির সুর শোনা যায় ট্রাম্পকে। পরমাণু শক্তিতে খানিকটা এগিয়ে থাকা ইরানের প্রতি বরাবরই বৈরিতা রয়েছে পশ্চিমি দুনিয়ার। তার উপর এই মুহূর্তে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই চরম পাশ্চাত্য-বিরোধী। আর তাই বিশ্বের পয়লা নম্বর শক্তিধর দেশের রাষ্ট্রনেতা তাঁর উপর চাপ সৃষ্টির কৌশলই নেন। সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ”ইরানের জন্য আমাদের দুটি রাস্তা আছে। হয় সামরিক শক্তি নয়তো পরমাণু চুক্তি। তবে আমি পরমাণু চুক্তিতেই বেশি আগ্রহী। ইরানকে আর সেদেশের মানুষকে এখনই আঘাত করতে চাই না।” বিশ্বশক্তির সমীকরণ দেখলে বোঝা যাবে, পরমাণু অস্ত্র নিয়ে অহরহ গবেষণা করা ইরানকে ডরায় পশ্চিমি দুনিয়া। কারণ, তাদের স্থির বিশ্বাস, ইরানের ভাঁড়ারে রয়েছে পরমাণু অস্ত্র। যদিও তেহরানের তরফে বারবারই তা অস্বীকার করা হয়। তারপরও অবশ্য আমেরিকা, ব্রিটেনের মতো শক্তিধর রাষ্ট্রের চাপে রাষ্ট্রসংঘ বারবার আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি চাপায় তেহরানের উপর।