স্ট্র্যান্ড রোডে অগ্নিকান্ডে মৃত ৭, পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ও চাকরি-র ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

স্ট্র্যান্ড রোডে রেলের নিউ কয়লাঘাট বিল্ডিংয়ের বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ৪ জন দমকল কর্মী, ২ জন রেল কর্মী এবং হেয়ার স্ট্রিট থানার এএসআই রয়েছেন। সোমবার রাতে ঘটনাস্থলে যান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। রাত ১১টা ৩০ মিনিট নাগাদ ঘটনাস্থলে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন মৃত্যুর খবর খুবই দুঃখের। টাকা দিয়ে তার পূরণ হয় না। তবুও মৃতদের প্রত্যেকটি পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ও পরিবারের ১জনকে চাকরি দেওয়া হবে। এই দুর্ঘটনায় রেলের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, ‘আগুন লাগার পর পরই ‘কয়লাঘাট বিল্ডিংয়ের নকশা দেওয়ার জন্য দমকল ও পুলিশের তরফে রেলকে অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু ওরা (রেল) সেসব দিতে পারেনি। এমনকী পুরোটাই রেলের অফিস হওয়া সত্ত্বেও রেলের কোনও আধিকারিক এখানে আসেননি।’ রেলের দফতরে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা কী অবস্থায় ছিল তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রেলের কেউ আগুন নেভাতে আসেনি। তিনি বলেন,’রেলের তরফে সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। রেলের কাছে ম্যাপ চাওয়া হয়েছিল দেয়নি।” এ দিকে, যে বহুতলে আগুন লেগেছে তার ১৩ তলায় পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মূল কার্যালয়। অগ্নিকাণ্ডের জেরে রেলের অনলাইন টিকিট বুকিং সম্পূর্ণভাবে বন্ধ। পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের অনলাইন টিকিট বুকিংও বন্ধ। উল্লেখ্য, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিট নাগাদ নিউ কয়লাঘাট বিল্ডিংয়ে আগুন লাগে। ভবনের ১৩ তলায় প্রথমে আগুন লাগে,পরে তা অন্যান্য তলাতেও ছড়িয়ে পড়ে। ওই বাড়িতেই ছিল রেল সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি অফিস। আগুন নেভাতে হিমশিম অবস্থা হয় দমকল কর্মীদের। সেই অবস্থাতেও ২০টি ইঞ্জিন ও হাইড্রোলিক ল্যাডারের সহায়তায় দমকল কর্মীরা আগুন নেভাতে মরিয়া চেষ্টা চালান। আগুনের উৎসের সন্ধানে ভবনের ভিতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন তাঁরা। প্রায় ৫ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

error: Content is protected !!