নেদারল্যান্ডসকে ১৬০ রানের হারালো ইংল্যান্ড

গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের এ বারের বিশ্বকাপ শুরু হয়েছিল হার দিয়ে। পরের ম্যাচেই জয়। এরপর টানা পাঁচটি হার। অবশেষে জয়ে ফিরল ইংল্যান্ড। পুনেতে নেদারল্যান্ডসকে ১৬০ রানের বড় ব্যবধানে হারাল তারা। এই ম্যাচে টসে জিতে প্ৰথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। ওপেনার জনি বেয়ারস্টোর ব্যাট থেকে বেশি রান আসেনি। তিনি ১৭ বলে ১৫ রান করতে সক্ষম হন। আরেক ওপেনার ডেভিড মালান ৭৪ বলে ৮৭ রানের একটি দারুণ ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ছিল ১০টি চার এবং ২টি ছয়। জো রুট ৩৫ বলে ২৮ রান করে নিজের উইকেট হারান। তিনি এবং মালান মিলে ৮৫ রানের একটি সুন্দর পার্টনারশিপ করেন। বেন স্টোকস ৮৪ বলে ১০৮ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস খেলেন। তিনি এই ইনিংসে ৬টি চার এবং ৬টি ছয় মারেন।হ্যারি ব্রুক, জস বাটলার এবং মইন আলি ব্যাট হাতে ব্যৰ্থ হন। ব্রুক ১৬ বলে ১১ রান করে নিজের উইকেট হারান। বাটলার ১১ বলে মাত্র ৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। অন্যদিকে, মইন ১৫ বলে মাত্র ৪ রান করেন। ক্রিস ওকস ৪৫ বলে ৫১ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। তিনি এবং স্টোকস মিলে ১২৯ রানের একটি দুর্ধর্ষ পার্টনারশিপ করেন। শেষমেশ ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৩৯ রান করে নেদারল্যান্ডস। বাস ডি লিড ৩টি উইকেট পান। আরিয়ান দত্ত এবং লোগান ফান বিক ২টি করে উইকেট নেন। পল ফান মিকেরেন ১টি উইকেট শিকার করেন।

রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই সমস্যার মধ্যে পড়ে গিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। ম্যাক্স ওডাউড ১১ বলে মাত্র ৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। অন্যদিকে, কলিন অ্যাকারম্যান ০ রানে আউট হন। ওয়েসলি বারেসি ৩টি চার এবং ১টি ছয় সহ ৬২ বলে ৩৭ রান করেন। সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট এবং স্কট এডওয়ার্ডস যথাক্রমে ৪৯ বলে ৩৩ রান এবং ৪২ বলে ৩৮ রান করেন। বাস ডি লিড বেশি রান করতে পারেননি। তিনি ১২ বলে মাত্র ১০ রান করে আউট হন। তেজা নিদামানুরু ৩৪ বলে ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন। তার ইনিংসে ছিল ২টি চার এবং ৩টি ছয়। শেষমেশ ৩৭.২ ওভারে ১৭৯ রানে অলআউট হয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। আদিল রশিদ এবং মইন আলি যথাক্রমে ৮ ওভারে ৫৪ রান এবং ৮.২ ওভারে ৪২ রান দিয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেন। ডেভিড উইলি ৭ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। ক্রিস ওকস ১টি উইকেট পান।

error: Content is protected !!