
ক্যাম্প থেকে ঘরে ফিরল ২১ ঘরছাড়া পরিবার
প্রশাসনের তরফে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার আশ্বাস পাওয়ার পর পারলালপুর হাইস্কুলের আশ্রয় শিবির থেকে ঘরে ফিরতে রাজি হয়েছেন মুর্শিদাবাদের ঘরছাড়ারা ৷ শনিবার শিবির ছেড়েছে 21টি পরিবার ৷ প্রশাসনের আশা, আগামী দু’একদিনের মধ্যে আক্রান্তরা সবাই ঘরে ফিরে যাবেন ৷ এদিকে এদিন পারলালপুর হাইস্কুল পরিদর্শনে যান খোদ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কার্যকরী চেয়ারপার্সন বিজয় ভারতী সায়নী ৷ বেশ কিছুক্ষণ ধরে তিনি ঘরছাড়াদের সঙ্গে কথা বলেন ৷ শিবিরে তাঁদের কীভাবে রাখা হয়েছে, কেন তাঁরা ঘর ছেড়েছেন, সেসব তিনি আক্রান্তদের মুখ থেকেই শোনেন ৷ সব মিলিয়ে শনিবারও দিনভর জমজমাট হয়ে থাকল পারলালপুর ৷ এদিন সকাল সাড়ে 10টা নাগাদ বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে মালদা পৌঁছোন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কার্যকরী চেয়ারপার্সন ৷ স্টেশন থেকে বেরিয়ে তিনি প্রথমে সার্কিট হাউসে যান ৷ মাত্র মিনিট দশেক বিশ্রাম নিয়েই পারলালপুরের উদ্দেশে রওনা দেন ৷ ঘরছাড়াদের সঙ্গে ঘণ্টাখানেক সময় কাটান তিনি ৷ এদিন তাঁর পরিদর্শনের সময় আবারও সংবাদমাধ্যমকে স্কুলের ভিতর ঢুকতে দেওয়া হয়নি ৷ স্কুল থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, “এখানে মানবতাকে হত্যা করা হয়েছে ৷ মানবাধিকারকে ধ্বংস করা হয়েছে ৷ এখানে যে ঘটনা ঘটেছে, তা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে ৷ এই দেশের প্রতিটি মানুষের নির্ভয়ে বাঁচার অধিকার রয়েছে ৷ এখানে যাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন, সবার প্রথমে তাঁদের মানসিকভাবে উদ্বুদ্ধ করতে হবে ৷ এঁদের চিকিৎসা এবং আইনি সহায়তা পাওয়ার অধিকার রয়েছে ৷ এঁরা অর্থনৈতিক সহায়তা পাওয়ারও অধিকারী ৷ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একজন সদস্য হিসাবে আমি এই অধিকারগুলি এঁদের পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব ৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কোন কোন জায়গায় এঁদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, তা দেখার জন্য আমি এখানে এসেছিলাম ৷ এই শিবিরের পরিকাঠামো, স্বাস্থ্যবিধি, খাদ্য, নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে আমি এঁদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছি ৷ দিল্লি ফিরে গিয়ে আমি রিপোর্ট তৈরি করে কমিশনে পাঠাব ৷ সেখানে এনিয়ে আলোচনার পর নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এঁদের অধিকারের বিষয়টি পেশ করা হবে ৷”