বিধানসভার সার্বভৌমত্বে ধাক্কা! রাজ্যপালের প্রস্তাব ফেরালেন ক্ষুব্ধ ডেপুটি স্পিকার
কলকাতার বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের নবনির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়র শপথ ঘিরে জটিলতা ক্রমশই বেড়ে চলেছে। যথারীতি সেই সমস্যার জন্য এখন রাজ্যবাসী কাঠগড়ায় তুলছেন রাজভবনের বাসিন্দা জগদীপ ধনখড়কেই। কার্যত যথেচ্ছা করে চলেছেন তিনি। নিজে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হওয়ায় এখন তিনি নিত্যদিন কথায় কথায় বাংলার সংস্কৃতি কৃষ্টিকে অপমান করে চলেছেন তিনি। মানছেন না সাংবিধানিক রীতিনীতিও। শনি সন্ধ্যায় তিনি টুইট করে বাবুল সুপ্রিয়কে শপথবাক্য পাঠ করারানোর দায়িত্ব দেন রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিধানসভার স্পিকার হিসাবে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় থাকা সত্ত্বেও কেন বাবুলকে শপথ বাক্য পাঠ করানোর দায়িত্ব ডেপুটি স্পিকারকে দেওয়া হল তা নিয়ে যখন বিতর্ক বেঁধে গিয়েছে, ঠিক তখনই রাজ্যপালকে মক্ষোম জবাব দিলেন ডেপুটি স্পিকার আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানিয়ে দিলেন তিনি, রাজ্যপালের উচিত সাংবিধানিক রীতিমীতি মেনে চলা। তিনি বাবুলকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন না। গতকাল সন্ধ্যায় টুইট করে রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, ‘ভারতের সংবিধানের ১৮৮ অনুচ্ছেদ দ্বারা আমার ওপর থাকা ক্ষমতার ভিত্তিতে, ডেপুটি স্পিকার আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দিলাম পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার তরফে ১৬১-বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত শ্রী বাবুল সুপ্রিয়কে শপথগ্রহণ করানোর।’ রাজ্যপালের সেই টুইটের পরেই বাবুল টুইট করে পাল্টা ধন্যবাদ জানান ধনখড়কে। তবে স্পিকারকে কাছে শপথ নিতে না পারার জন্য ‘দুঃখ’ পেয়েছেন বলেও লিখেছেন বাবুল। বাবুল লেখেন, ‘আপনাকে ধন্যবাদ মহাশয়। আপনকে কৃতজ্ঞতা ও সম্মানজ্ঞাপন করেই বলি, আমি ডেপুটি স্পিকারের সম্মান রেখেই বলছি, আমি দুঃখিত যে আমি মাননীয় স্পিকারের কাছে থেকে শপথ নেওয়ার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হব।’ কিন্তু রাতেই আশিষবাবু সাফ জানিয়ে দেন তিনি রাজ্যপালের প্রস্তাব মানছেন না। রাজভবন থেকে তাঁর কাছে এই মর্মে কোনও চিঠি শনিবার রাত পর্যন্ত আসেনি। যদিও বা পরে আসে তাহলে তিনি তা প্রত্যাখান করবেন। কেননা রাজ্যপাল যা করছেন তা শুধু সাংবিধানিক রীতিনীতির লঙ্ঘণই নয়, রাজ্য বিধানসভার সার্বভৌমত্বে ধাক্কা ও স্পিকারকে সরাসরি অপমান করা যা তিনি ডেপুটি স্পিকার হিসাবে মেনে নেবেন না।