বাঁশদ্রোণীতে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় দমদম থেকে গ্রেপ্তার পে-লোডার চালক, শুরু রাস্তা মেরামতির কাজ
বাঁশদ্রোণীতে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় অবশেষে গ্রেপ্তার পে-লোডার চালক। ঘটনার পর থেকেই চালক পলাতক ছিল বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দমদম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মহালয়ার দিন সকালে কলকাতা পুরসভার ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এক নবম শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। পে-লোডারের চালককে গ্রেপ্তারের দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলে এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশকে ঘিরে ধরেও চলে বিক্ষোভ। কেন পলাতক চালককে ধরা যাচ্ছে না? সেই প্রশ্ন তোলেন স্থানীয়রা। অবশেষে, এদিন তাকে গ্রেপ্তার করা হলো। স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, দীর্ঘ দিন ধরে ওই এলাকায় রাস্তা বেহাল। অনেক দিন ধরেই সেখানে খোঁড়াখুঁড়ির কাজও চলছে। যদিও, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দ্রুত রাস্তা মেরামতির কাজ শেষ করার পদক্ষেপ করা হয়। অন্যদিকে,আজ সকাল থেকে এলাকা শান্ত ছিল। দফায় দফায় এলাকায় পুলিশের টহলদারি চলে। যদিও, এলাকায় এখনও দেখা মেলেনি স্থানীয় কাউন্সিলর অনিতা কর মজুমদারের। তবে, নতুন করে উত্তেজনা তৈরি না হলেও এলাকায় চাপা ক্ষোভ রয়েছে। বুধবার দিনভর পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় উত্তেজিত জনতা। পাটুলি থানার ওসিকে কয়েক ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। তাঁকে কাদা জলে দাঁড় করিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে যান কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার প্রদীপ ঘোষাল এবং ডিসি (দক্ষিণ শহরতলি) বিদিশা কলিতা দাশগুপ্ত। শুরু হয় ধরপাকড়। পুলিশের উপর আক্রমণের ঘটনায় ৫ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সেই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার রাত থেকেই বাঁশদ্রোণী থানার সামনে ধরনা শুরু করেন বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সকালেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতে জামিন পান তিনি।