মীরাজ খালিদকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন, বীরভূমের পুলিশ সুপার হলেন নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী
শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সরিয়ে দেওয়া হল বীরভূমের পুলিশ সুপার মীরাজ খালিদকে। তার বদলে দায়িত্বে আনা হল নন্দীগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীকে। একই সঙ্গে সরিয়ে দেওয়া হল বোলপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অভিষেক রায়কে। তাঁর জায়গায় এলেন নাগরাজ দেবরাকোন্দা। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে শুধু সরিয়ে দেওয়া নয়, নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও দায়িত্বও পালন করতে পারবেন না মীরাজ খালিদ ও অভিষেক রায়।
গত শনিবার সিউড়ি থানার সামনে বিজেপি প্রার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকেই তিনি অবিলম্বে জেলা পুলিশ সুপারের বদলির দাবি জানান। বীরভূম জেলা পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক, পুলিশ পর্যবেক্ষক, বিশেষ পর্যবেক্ষকের কাছে অভিযোগ করা ও তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তোলেন শুভেন্দু। তিনি অভিযোগ করেন যে এই পুলিশ সুপার থাকলে জেলায় বিজেপি প্রার্থীরা প্রচার করতে পারবেন না, তাদের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। এরপর আজই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় মীরাজ খালিদকে। পুলিশ সুপারের দায়িত্বে আনা হয় নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীকে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশেই জেলার আগের পুলিশ সুপার শ্যাম সিংকে বদল করে আনা হয়েছিল কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল মিরাজ খালিদকে। তাঁকেই এবার বদলি করা হল। অভিষেক রায়ের বদলে এসডিপিও বোলপুর হলেন নাগরাজ দেবরাকোন্দা। অভিষেক রায়ের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই সরব ছিল জেলা বিজেপি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সিদ্ধান্ত থেকেই স্পষ্ট, উত্তেজনাপ্রবণ বীরভূম জেলাকে এবারের ভোটে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বিশেষত এখানকার দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে আগেই নজরবন্দি করা হয়েছে। তাঁর প্রতিটি গতিবিধির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীকে এই জেলার দায়িত্ব দেওয়ার অন্যতম কারণ এটাই। বীরভূম জেলার ১১ টি কেন্দ্র ভোট শেষ দফায়, ২৯ এপ্রিল।