বিয়ের আগে অন্তঃসত্ত্বা ! যুবতীকে খুন করে মাটিতে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রেমিক ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে
বিয়ের আগে অন্তঃসত্ত্বা। প্রেমিককে বিষয়টি জানাতেই ভয়াবহ পরিণতি হল ১৯ বছরের এক যুবতীর ৷ যুবতীকে খুন করে মাটিতে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রেমিক ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে ৷ ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসায় চাঞ্চল্য ছড়ায় দিল্লির নাঙ্গলোই এলাকায় ৷ সূত্রের খবর, বেশ কয়েকদিন ধরে বিয়ের জন্য প্রেমিককে চাপ দিচ্ছিলেন যুবতী ৷ কিন্তু তাঁকে গর্ভপাতের জন্য পাল্টা চাপ দিচ্ছিল অভিযুক্ত প্রেমিক ৷ গত ২১ অক্টোবর করয়া চৌথের দিন প্রেমিক সঞ্জু ওরফে সালিমের জন্য উপবাস করেন ওই যুবতী ৷ সেদিনও বিয়ে নিয়ে দু’জনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথাকাটাকাটি হয় বলে জানা গিয়েছে ৷ ঝামেলা মেটার পর প্রেমিকাকে নিয়ে একটি গাড়ি করে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে হয় অভিযুক্ত ৷ সঙ্গে ছিল অভিযুক্তের দুই বন্ধু ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, পরিকল্পনা মাফিক আগে থেকেই সঙ্গী পঙ্কজ ও ঋত্তিককে একটি গাড়ি ভাড়া করতে বলেন অভিযুক্ত প্রেমিক ৷ সেই গাড়িতে দুই বন্ধু ও প্রেমিকাকে নিয়ে হরিয়ানার রোহতকের দিকে রওনা দেয় সালিম ৷ রোহতক পৌঁছনোর কিছুক্ষণ আগে যুবতীকে মেরে একটি পরিত্যক্ত এলাকায় মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ৷ বোন বাড়ি না-ফেরায় ২২ অক্টোবর স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন যুবতীর দাদা ৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত ৷ যুবতীর বন্ধুদের বাড়ি-সহ আত্মীয়দের বাড়িতে তল্লাশি শুরু করে দিল্লি পুলিশ ৷ এক শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পর একাধিক দল গঠন করে তদন্ত শুরু করা হয় ৷ যুবতীর ফোন বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷ ফলে তদন্তে খানিক বেগ পেতে হয় ৷” এরপর যুবতীর প্রেমিক সালিম ও পঙ্কজকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে নিজেদের দোষ স্বীকার করে ৷ অনেক খোঁজাখুঁজির পর তৃতীয় অভিযুক্ত ঋত্তিককেও আটক করে পুলিশ ৷ আর এক তদন্তকারী আধিকারিক জানান, তিন অভিযুক্তর বয়ানের ভিত্তিতে রোহতকের মাদিনা এলাকা থেকে যুবতীর দেহ উদ্ধার করা হয় ৷ প্রসঙ্গত, সোশাল মিডিয়ায় প্রায় ৬ হাজার ফলোয়ার রয়েছে মৃত যুবতীর ৷ সালিমের সঙ্গে বেশ কয়েকটি ছবি পোস্টও করেন তিনি ৷