কোনও জায়গায় করোনা সংক্রমণের হার ১০ শতাংশ হলেই লকডাউন করা উচিত: রণদীপ গুলেরিয়া

এইমসের প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া বললেন, যে এলাকায় সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের বেশি, সেখানেই লকডাউন করা উচিত। সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা বুঝতেই পারেনি, কোভিডের নতুন ভ্যারিয়্যান্ট হবে আরও ছোঁয়াচে। সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙাই এখন সবচেয়ে জরুরি। মানুষের জীবন বাঁচাতে হবে। গুলেরিয়া বলেন, ‘আমি মনে করি, করোনা মোকাবিলায় দ্বিমুখী কৌশল চাই। প্রথমত, অবিলম্বে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতি করতে হবে। হাসপাতালে বেড, অক্সিজেন ও ওষুধ বাড়াতে হবে। দ্বিতীয়ত, কোভিড কেস কমাতে হবে। এত বেশি সংখ্যক অ্যাকটিভ কেস থাকলে চলবে না।’ এইমস প্রধানের মতে, অ্যাকটিভ কেস কমানোর জন্য যে সব এলাকায় সংক্রমণ বেশি সেদিকে নজর দিতে হবে। প্রয়োজনে ওই সব এলাকায় কনটেনমেন্ট জোন এমনকি লকডাউনও করা যেতে পারে। তবেই সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙবে। আক্রান্তের সংখ্যা কমবে। গত এক মাসে দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে সংক্রমণের হার। মার্চের মাঝামাঝি দেশে দৈনিক সংক্রমণ ছিল ২৫ হাজারের কম। এপ্রিলের শেষ দৈনিক সংক্রমণ হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ। এর মধ্যে দেখা গিয়েছে অক্সিজেনের সংকট। গত ৭২ ঘণ্টায় রাজধানীর অনেক হাসপাতালেই অক্সিজেনের স্টক প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। এইমস প্রধান বলেন, ‘রাজধানীতে এখন অক্সিজেনের খুবই প্রয়োজন। দেশের পূর্বাঞ্চলের অনেক রাজ্যে বাড়তি অক্সিজেন আছে। সেখান থেকে অক্সিজেন আনা দরকার।’ গুলেরিয়া বলেন, ‘আক্রান্তের সংখ্যা এমন হু হু করে বেড়ে যাবে, আমরা ভাবতে পারিনি। কোভিডের প্রথম ওয়েভ ছিল অনেক ধীর। হাসপাতালের বেড, ওষুধ বাড়ানোর জন্য আমাদের হাতে সময় ছিল। আমাদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল।’ শনিবার সকালে জানা যায়, তার আগের ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে ২৪ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে চাপ বেড়েছে হাসপাতালগুলির ওপরে। অনেক রোগীর চিকিত্‍সার জন্য ওষুধও পাওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে রেমডিসিভির ওষুধটির চাহিদা বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। গুলেরিয়া বলেন, রেমডিসিভির কোনও জীবনদায়ী ওষুধ নয়। তাঁর কথায়, ‘রেমডিসিভির মৃত্যুর সংখ্যা কমাতে পারে না। ওই ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে মিশ্র রিপোর্ট আছে। ভারতে ওই ওষুধটিকে এমার্জেন্সি ইউজের ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়েছে।’

error: Content is protected !!