
৫ রাজ্যে ভোট ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের, রাজনৈতিক সভা-মিছিলে নিষেধাজ্ঞা
উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন৷ শনিবার নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের দিন ঘোষণা করলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র ৷ তিনি জানালেন, পাঁচ রাজ্যের মধ্যে কেবলমাত্র উত্তরপ্রদেশেই সাত দফায় ভোট হবে ৷ প্রথম দফার ভোট ১০ ফেব্রুয়ারি ৷ ভোট শেষ ৭ মার্চ ৷ মনিপুরে দু‘দফায় এবং পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড ও গোয়ায় একদফাতেই ভোট হবে ৷ পাঁচ রাজ্যে ভোটের ফল ঘোষণা ১০ মার্চ ৷ তিনি জানান, উত্তরপ্রদেশে সাত দফায় ভোট ৷ প্রথম দফার ভোট ১০ ফেব্রুয়ারি ৷ শেষ দফার ভোট ৭ মার্চ ৷ পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড ও গোয়ায় এক দফাতেই ভোট ৷ ১৪ ফেব্রুয়ারি ওই ভোট হবে ৷ সেদিন উত্তর প্রদেশে দ্বিতীয় দফার ভোট ৷ উত্তরপ্রদেশে তৃতীয় দফার ভোট ২০ ফেব্রুয়ারি ৷ ওই রাজ্যে চতুর্থ দফার ভোট ফেব্রুয়ারির ২৩ তারিখ ৷ ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম দফার ভোট হবে উত্তরপ্রদেশে ৷ সেদিনই মনিপুরে প্রথম দফার ভোট ৷ ৩ মার্চ মনিপুরে দ্বিতীয় দফার ভোটের দিনই উত্তরপ্রদেশে ষষ্ঠ দফার ভোট গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র ৷ এবার ভোট নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল ৷ কারণ, করোনা সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে ৷ বিশেষ করে ওমিক্রনের সংক্রমণ চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার তৃতীয় ঢেউ হাজির হয়েছে ভারতে ৷ এই পরিস্থিতি ভোট করা কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই আলোচনা চলছে ৷ যদিও সব ধোঁয়াশা কাটিয়ে নির্বাচন ঘোষণা করল কমিশন ৷ পাশাপাশি জানিয়ে দিল করোনার জন্য বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে ৷ সেই ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ হল রাজনৈতিক সভা-মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা ৷ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র জানান, কোনও পদযাত্রা, মিছিল, সাইক্যাল ব়্যালি, সভা করা যাবে না ৷ রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত কোনও সভা নয় ৷ ওই সময় নির্বাচনী কার্ফু জারি থাকবে ৷ কোনও পথসভা করা যাবে না ৷ এই নিষেধাজ্ঞা আগামী ১৫জানুয়ারি পর্যন্ত জারি থাকবে ৷ তারপর পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ৷ সেক্ষেত্রে সরকারি করোনাবিধি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন ৷ পাশাপাশি তিনি জানান, সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রের স্বাস্থ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিব এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা হয়েছে ৷ সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির স্বাস্থ্যসচিবদের সঙ্গেও আলোচনা করা হয়েছে ৷ তিনি জানান, বুথগুলিতে করোনা বিধি কড়াভাবে মেনে চলা হবে ৷ করোনা আক্রান্তরা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন ৷ ভোটকর্মীদের করোনার প্রতিষেধকের ডাবল ডোজ দেওয়া হবে ৷ এমনকী, বুস্টার ডোজও দেওয়া হবে ৷ তাছাড়া করোনার সংক্রমণের পজিটিভিটি রেটও খতিয়ে দেখা হয়েছে ৷ একই সঙ্গে তিনি জানান, ভোটদানের সময় একঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে ৷ ভোট প্রচারের সময়সীমা দ্বিগুণ করা হয়েছে ৷ ডিজিটাল, ভার্চুয়াল প্রচারে জোর দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক দলগুলিকে অনুরোধ করেছেন তিনি ৷ এর ফলে জমায়েত রুখে দেওয়া যাবে বলে তিনি মনে করেন ৷