
হরিয়ানায় কংগ্রেস নেত্রী হত্যা মামলায় গ্রেফতার এক অভিযুক্ত
হরিয়ানায় কংগ্রেস নেত্রী হিমানি নারওয়াল হত্যা মামলায় এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই খুনের ঘটনায় যুক্ত অভিযুক্তকে শনাক্তও করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের নাম শচীন বলে পুলিশ সূত্রে খবর মিলেছে। তথ্য অনুযায়ী, হিমানিকে খুন করেছে এই শচীন। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক রবিবার গভীর রাতে নাগলোই থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে। এরপরই তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয় রোহতক পুলিশ। একই সঙ্গে, এদিন তদন্ত করে রোহতক পুলিশ এই মামলা সংক্রান্ত আরও তথ্য সামনে আনতে পারে বলেও খবর। হরিয়ানা মিউনিসিপ্যাল নির্বাচনের জেরে চরম ব্যস্ততা পুলিশ মহলে ৷ এর মাঝেই প্রশাসন কংগ্রেস নেত্রী খুনের তদন্তের জন্য তড়িঘড়ি করে একটি দল গঠন করেছে। প্রশাসনের উপর রাজনৈতিক চাপও তীব্র হতে শুরু করেছিল ৷ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র হুডাও এই বিষয়ে দ্রুত তদন্ত করতে রোহতকের পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেন ৷ পাশাপাশি, অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিও করেন তিনি। ফলে পুলিশ-প্রশাসনের উপর রাজনৈতিক চাপ ক্রমেই বাড়তে থাকে। অন্যদিকে, ময়নাতদন্তের পরেও হিমানির পরিবার মেয়ের দেহ নিতে অস্বীকার করে ৷ তাদের অভিযোগ, শুধুমাত্র কংগ্রেস দলের লোকেরাই এই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে পাঁচটি আলাদা টিম গঠন করেছে পুলিশ। তদন্তের অংশ হিসাবে, হিমানির বাড়ির আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজও পরীক্ষা করা হচ্ছে। যাতে কিছু তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়া, সাইবার সুরক্ষা দল হিমানির সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলিও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করছে। স্যুটকেসে হিমানির মৃতদেহ যেখানে পাওয়া গিয়েছে, সেখানে কোনও সিসিটিভি না থাকায় এই খুনের তদন্তে সমস্যার মুখে পড়েছে পুলিশ। হিমানি নারওয়াল কংগ্রেসের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। দলের প্রতিটি বড় কর্মসূচিতে তিনি উপস্থিত থাকতেন। রাহুল গান্ধির সঙ্গে ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রাতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। বিধায়ক বিবি বাত্রা তাঁর হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৷ তাঁর দাবি, হিমানি কংগ্রেসের একজন পরিশ্রমী কর্মী ছিলেন। তিনি এই মামলায় সিট গঠনের দাবিও করেছিলেন ৷ একই সঙ্গে, তদন্ত করার কথাও বলেছিলেন।