লড়াই ব্যর্থ, রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ২ রানে হার রাজস্থানের

এই মরসুমে অন্যতম একটা সেরা ম্যাচ। বৈভব সূর্যবংশীর অভিষেক, যশস্বী জয়সওয়ালের দুর্দান্ত ব্যাটিং। একাধিক ক্যাচ মিস। তারপরও রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। স্লগ ওভারে আবেশ খান ফের নায়ক হয়ে উঠলেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের জন্য। গত ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে জয়ের খুব কাছ থেকে ফিরেছিল রাজস্থান রয়্যালস। ঘরের মাঠেও একই পরিণতি হল। পার্থক্য হল, সেই ম্যাচটা সুপার ওভারে নিয়ে যেতে পেরেছিল রাজস্থান। আর জয়পুরে ২ রানে হার। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ঋষভ পন্থ। পরপর উইকেট হারিয়ে ক্রমশ চাপ বাড়ে। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে আয়ুষ বাদোনিকে নামানো হয়। মার্কব়্যামের ৬৬ এবং আয়ুষের হাফসেঞ্চুরি। ১০ বলে ৩০ রানের ক্যামিও ইনিংস আব্দুল সামাদের। রাজস্থানকে ১৮১ রানের টার্গেট দেয় লখনউ সুপার জায়ান্টস। রান তাড়ায় দুর্দান্ত শুরু রাজস্থান রয়্যালসের। আইপিএলে কনিষ্ঠতম ক্রিকেটারের রেকর্ড গড়া বৈভব সূর্যবংশী দুর্দান্ত খেলেন। তেমনই দেখা যায় যশস্বী জয়সওয়ালের জ্যাজ়বলও। ওপেনিং জুটিতেই ৮৫ রান যোগ করেন যশস্বী ও বৈভব। এখান থেকে ম্যাচ হারা ভাবনারও বাইরে। কিন্তু ওই যে ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা। যশস্বীর ৫২ বলে ৭৪, রিয়ান পরাগের ২৬ বলে ৩৯ বা বৈভবের ২০ বলে ৩৪। সব লড়াই ব্যর্থ। শেষ তিন ওভারে মাত্র ২৫ রান প্রয়োজন ছিল রাজস্থান রয়্যালসের। ক্রিজে তখনও যশস্বী জয়সওয়াল ও রিয়ান পরাগ। এখান থেকেই খেলা ঘুরিয়ে দেন আবেশ খান। ১৮তম ওভারের প্রথম ডেলিভারিতেই যশস্বীকে বোল্ড করেন আবেশ খান। ওভারের শেষ ডেলিভারিতে ফেরান রিয়ান পরাগকেও। শেষ ২ ওভারে ২০ রানের টার্গেট দাঁড়ায়। ১৯তম ওভারে প্রিন্স যাদব ১১ রান দেন। ৯ রানের পুঁজি নিয়ে শেষ ওভারে বোলিংয়ে আসেন আবেশ। তৃতীয় ডেলিভারিতে শিমরন হেটমায়ারের উইকেট। এখানেই যেন ম্যাচ হাতছাড়া। শেষ অবধি ২ রানের রুদ্ধশ্বাস জয়।

error: Content is protected !!