
আজ ধরনায় মমতা, সভায় অভিষেক, শহরে যানজটের আশঙ্কা
শহিদ মিনার ময়দানে শর্তসাপেক্ষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার অনুমতি দিল হাইকোর্ট। কাজেই আজ, বুধবার ডিএ আন্দোলনকারীদের ধর্না মঞ্চের ঢিল ছোড়া দূরত্বে জনসভা করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এ দিনই আবার কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে শহিদ মিনারের অদূরে রেড রোডে আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, ঠিক উল্টো দাবি নিয়ে বিজেপি ধর্নায় বসছে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে। তাদের প্রশ্ন, রাজ্য সরকার এখনও কেন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে প্রাপ্ত অর্থের হিসেব দিচ্ছে না দিল্লিকে? শ্যামবাজারে দলীয় ধর্না মঞ্চে হাজির থাকার কথা সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী-সহ রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের। থাকতে বলা হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের দলীয় বিধায়কদেরও। পাশাপাশি, আজ কিন্তু ঘরে বসে থাকছে না বামেরাও। তারা এ দিন মিছিল করবে শহরের রাজপথে। নিশানায় অবশ্য তৃণমূল এবং বিজেপি – দু’পক্ষই। কেন্দ্রের বঞ্চনা এবং রাজ্যের তরফে দিল্লিতে হিসেব না পাঠানো, এই দু’য়ের বিরুদ্ধে আজ, বুধবার দুপুরে বামেরা মিছিল শুরু করবে মৌলালির রামলীলা ময়দান থেকে। মল্লিক বাজার ঘুরে তা শেষ হবে পার্ক সার্কাসের লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের সামনে। শহরের নানাপ্রান্তে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এত সব কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আজ গুরুত্বপূর্ণ বহু রাস্তায় যানজটের আশঙ্কা থাকছে। যদিও যান চলাচল সচল রাখতে যাবতীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এতগুলি রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্যে শুধু শহিদ মিনারে যুব তৃণমূলের জনসভা নিয়ে তৈরি হয়েছিল সংশয়। যেখানে প্রধান বক্তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিএ ধর্নামঞ্চের পাশে তাঁর সভার ছাড়পত্র আদালত থেকে মিলবে কি না, সে দিকেও নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের। শেষ পর্যন্ত অবশ্য মঙ্গলবার কোর্টে সেই সভার অনুমোদন মিলেছে। অনুমতি দেওয়ার আগে কলকাতা পুলিশকে এর ছাড়পত্র দেওয়া নিয়ে সমালোচনাও করেছে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ। হাইকোর্টের অনুমতি নিয়েই যখন ময়দানে ডিএ-র দাবিতে ধর্না চলছে, তখন সেখানে এমন একটা সভার ছাড়পত্র দিয়ে পুলিশ অপ্রীতিকর পরিস্থিতি আহ্বান করছে কি না, সে প্রশ্নও তুলেছে আদালত। শেষ পর্যন্ত কোর্ট জানিয়েছে, যুব তৃণমূলের সভাকে কেন্দ্র করে ময়দানের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলিতে এবং ডিএ-র দাবিতে ধর্না মঞ্চের দিকে সিসিটিভি লাগাতে হবে পুলিশকে। কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) দায়বদ্ধ থাকবেন। সভায় যোগ দিতে আসা সদস্যরা বা অন্য কেউ কোনও উস্কানিমূলক মন্তব্য করতে পারবেন না।