বিরোধী শক্তিকে আটকে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি, ঝাড়খণ্ড সরকারকে বাঁচিয়ে দিয়েছি: মুখ্যমন্ত্রী

বিরোধী শক্তিকে আটকে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। ‘১০ কোটি টাকা করে ঝাড়খণ্ডের একেক জন বিধায়ককে কিনতে চেয়েছিল। সেই চেষ্টা সফল হতে দিইনি। ঝাড়খণ্ড সরকারকে বাঁচিয়ে দিয়েছি’। হাওড়ার পাঁচলায় ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ককে বেআইনি অর্থ সহ গ্রেফতারের  প্রসঙ্গ তুলে এভাবেই বিজেপিকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি বিরোধীদের  বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে আরও একবার তিনি সরব হলেন। রবিবার বেহালায় তৃণমূল কংগ্রেসের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, ‘ঝাড়খণ্ড সরকারকে বাঁচালাম। আর তারপরই বিহারে ভেগে গেল’। তাঁর কড়া চ্যালেঞ্জ, আগামী ২০২৪ নির্বাচনে মোদী জিতবেন না। জিতবে না বিজেপি। তিনি আরও বলেন, উত্তরাখণ্ড, ঝাড়খণ্ড , রাজস্থানে বিজেপির লক্ষ্য সরকার ভাঙা। আর বাংলায় সরকার ভাঙতে পারবে না জেনে ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। যাতে কেউ তৃণমূল কংগ্রেস দল না করে। তারপরেই দৃঢ় কন্ঠে বলেন, ‘বাংলা দখল করার আগে বিজেপিকে জানতে হবে বাংলা পাহারা দিচ্ছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার।’ এদিন মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ১০ কোটি টাকা করে দিয়ে মহারাষ্ট্রের মত ঝাড়খণ্ড সরকার ভাঙার চেষ্টা করছিল বিজেপি। হাতেনাতে ধরে ফেলেছে বাংলার পুলিশ। টিপে ধরেছে টাকা ও চক্রান্তকে। তারপরেই বেরিয়ে এসেছে আসল গল্প। এই গল্প আসলে টাকার খেলার। তাঁর প্রশ্ন, বিভিন্ন রাজ্যে সরকার ভাঙার চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে কেন সিবিআই ও ইডি তদন্ত হয় না? তৃণমূল সুপ্রিমোর অভিযোগ, ৬ কোটি- ১০ কোটি- ৫০ কোটি টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি চালাচ্ছে সরকার ভাঙার খেলা। কেন্দ্রীয় এজেন্সির নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এদিন বিজেপি ও বিজেপি শাসিত কেন্দ্র সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ, আমি চোর হলাম আজ। মুখে চন্দন পড়ুক’। কড়া সুরে বলেন, ২০১১ সালে তিনি চেয়েছিলেন বদলা নয় বদল। অশান্তি চাননি বলেই তিনি এই কথা বলেছিলেন। বলেন, তিনি কারও গায়ে হাত দিতে চাননি। সেই সুযোগে নিয়োগ সহ বিভিন্ন দফতরের ফাইল পুড়িয়ে দিয়েছে সিপিএম। তারপরেই হুঁশিয়ারি দেন, বিভিন্ন কেসের ফাইল খুললে পূর্বতন রাজ্য সরকারের ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে পড়বে। কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে দেখা যাবে বেরিয়ে পড়েছে গোখরো সাপ। এদিন তাঁর নিশানায় ছিল সংবাদমাধ্যমও। অন্যদিকে, সাধারণ মানুষ থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের মমতার পরামর্শ, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হানায় ভয় না পেয়ে পথে নামুন । কাজের দিনে পাঁচটা থেকে ছ’টা । আর উইকেন্ডে তিনটে থেকে পাঁচটা । তাহলে এখন কি তদন্তকারী সংস্থার হাত থেকে বাঁচতে আন্দোলনই হতে চলেছে তৃণমূল-কংগ্রেসের অস্ত্র ? এদিন মমতা বলেন, “কাল যদি তদন্তকারী সংস্থা আমার বাড়িতে যায়, আপনারা কি করবেন ? রাস্তায় নামবেন তো ? গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করবেন তো ? আমারটা আমি একাই লড়ে নেব । কিন্তু আপনাদেরটা তো আপনাদেরই লড়ে নিতে হবে ।

error: Content is protected !!