একশো দিনের টাকা দাও, নয়তো বিদায় নাও; পুরুলিয়ার সভা থেকে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর

একশো দিনের টাকা দাও, না হয় বিদায় নাও । মঙ্গলবার শিমুলিয়ায় দলের কর্মিসভা থেকে আবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভা নির্বাচনের পর গতকাল প্রথম পুরুলিয়া সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী । এদিন ছিল সফরের দ্বিতীয় দিন । দ্বিতীয় দিন রাজনৈতিক মঞ্চ থেকেই ১০০ দিনের কাজের টাকা না দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে আরও একবার এক হাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, “আমাদের ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র । উল্টে দিল্লির সরকার টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছে । ডিসেম্বর থেকে টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র ।” মমতার দাবি, হয় টাকা দাও, নয় বিদায় নাও । পুরুলিয়ার সভা থেকে এদিন জ্বালানির দাম নিয়েও সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী । তিনি বলেন, “কেন্দ্রের উজ্জ্বলা গ্যাস কিনতে গেলে গরিব মানুষকে দিতে হয় ৮০০ টাকা । বাকিদের দিতে হয় হাজার টাকা । তাহলে উজ্জ্বলা ব্যবস্থা করার মানেটা কি? উনুনে রান্না করা ভালো ।” গতকাল শ্যামনগরের কর্মিসভা থেকে সিবিআইয়ের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । মঙ্গলবার একই সুর শোনা গেল মমতার গলায় । পুরুলিয়ার কর্মিসভা থেকে তিনি বলেন, “কখনও লালু প্রসাদের বাড়িতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি পাঠানো হচ্ছে, কখনও হেমন্ত সোরেনের বাড়িতে যাচ্ছে সিবিআই । কিন্তু বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে কেউ কোনও কথা বলছে না । বিজেপি নেতাদের গ্রেফতার করা উচিত । সবক’টাকে জেলে পুরুক সিবিআই ।” কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে বিরোধী দলের নেতাদেরই টার্গেট করা হচ্ছে বলে তোপ দাগেন তিনি । মুখ্যমন্ত্রী এদিন অভিযোগ করেন, কেন্দ্রের বিমাতৃসুলভ আচরণের কারণে বারবার আর্থিক বঞ্চনার শিকার হচ্ছে রাজ্য । তাঁর আরও অভিযোগ, “মোদি সরকার ভেজাল সরকার । ভোট এলে উজালা, ভোট কাটলে ঘোটালা । বাংলা থেকে টাকা তুলে নিয়ে বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করা হচ্ছে ।” মমতার একটাই দাবি, ১০০ দিনের টাকা দাও, নয়তো বিদায় নাও ।