১০ জুন থেকে বিধানসভায় শুরু বাদল অধিবেশন
১০ জুন থেকে রাজ্য বিধানসভায় শুরু হতে পারে বাদল অধিবেশন। বিধানসভা সূত্রে এমন খবর পাওয়া যাচ্ছে । আর আসন্ন বিধানসভা অধিবেশনেই রাজ্যপালকে সরিয়ে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার জন্য যে সিদ্ধান্ত রাজ্য মন্ত্রিসভা নিয়েছে, সেই বিষয় নিয়ে বিল নিয়ে আসা হতে পারে । একইভাবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষামন্ত্রীকে ভিজিটর করা সংক্রান্ত যে বিল, তাও পেশ হতে পারে এই বাদল অধিবেশনেই । সম্প্রতি মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য এবার থেকে হবেন মুখ্যমন্ত্রী । এতদিন পর্যন্ত যে ক্ষমতা ছিল পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের হাতে ৷ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়ে দেন, বিধানসভায় বিল এনে সংশোধন করে সেই ক্ষমতা এবার মুখ্যমন্ত্রীর হাতে দেওয়া হবে । সেই মতো এবার এই বিল আনার প্রস্তুতি শুরু করে দিল রাজ্য সরকার । সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আসন্ন বাদল অধিবেশনেই এই সংশোধনী বিধানসভায় পেশ করা হবে । শুধু তাই নয় এই মুহূর্তে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও রাজ্যপালকে সরানোর বিষয়ে আলোচনা চলছে । মনে করা হচ্ছে, সেই সংশোধনী বিলও আসন্ন বাদল অধিবেশন পেশ করা হতে পারে । এই মুহূর্তে সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই গত অধিবেশন থেকেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিরোধী দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা-সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৷ সেই কারণে বিরোধীদের প্রথম সারির নেতৃত্বে বাদল অধিবেশনে যোগদান করতে পারবেন না ৷ এমতাবস্থায় এইরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিল নিয়ে এসে কার্যত বিরোধী প্রতিরোধ ছাড়াই তা পাস করিয়ে নেওয়ার কৌশল নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস । যদিও এই মুহূর্তে বিরোধী দল বিজেপির যা সংখ্যা, তাতে এই বিল আটকে দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয় । এক্ষেত্রে বিরোধী দলনেতার অনুপস্থিতিতে এই বিল পেশ করা মানে বিজেপির বক্তব্য নথিভুক্তি করার সুযোগ না দেওয়া । এই প্রসঙ্গে বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা বলেন, ‘‘এই সরকার তো এমনিতেই বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে । এক্ষেত্রে এমনটাই তো হওয়ার ছিল ।’’ প্রসঙ্গত, এটা দেখার প্রথম সারির বিরোধী নেতৃত্বের অনুপস্থিতিতে বাদল অধিবেশনে বিজেপির বিরুদ্ধে কতটা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে ।