লকডাউন সমাধান নয়, বাংলায় এখনই লকডাউন-নাইট কার্ফু নয়, আতঙ্কের কারণ নেই: মুখ্যমন্ত্রী
টেলি মেডিসিনের হেল্প লাইনের নম্বর জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বাড়ছে সংক্রমণ। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কাবু বাংলা। দিল্লিতে ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে ৬ দিনের লকডাউন। এই জল্পনা যখন তুঙ্গে তখন লকডাউন বা নাইট কার্ফুর লাগুর সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অর্থাৎ, এখনই পশ্চিমবঙ্গে লকডাউন বা নাইঠ কার্ফু জারি হচ্ছে না। করোনা ঠেকাতে একাধিক রাজ্যে নাইট কার্ফুর সিদ্ধুন্ত নিয়েছে। এব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নাইট কার্ফু কোনও সমাধান নয়। রাজ্যে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি। সেই পরিস্থিতিতে যাঁদের সম্ভব, তাঁদেরকে ঘরে থেকেই কাজ করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ভ্যাকসিন এবং ওষুধ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এব্যাপারে তিনি রবিবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। তবে কেন্দ্রীয় সরকার অনুমতি না দিলে তা করা সম্ভব নয়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য সরকারের ২৪ ঘন্টা টেলিমেডিসিনের হেল্প লাইনের নম্বরও জানিয়েছেন। সেই নম্বরটি হল 1800 313 444 222। ২৪ ঘন্টা, সাতদিন এই টেলি মেডিসিন খোলা থাকছে বলে আশ্বস্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, এরই মধ্যে সরকারি হাসপাতালগুলিতে একহাজার বেড বাড়ানো হয়েছে। আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে আরও সাড়ে চারহাজার বেড বাড়ানো হবে। তিনি বলেন, পরিস্থিতির মোকাবিলায় ৫৮ টি বেসরকারি হাসপাতালকে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছেন, বিভিন্ন হোটেলকেও হাসপাতালগুলির সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে বেড বাড়াতে স্বাস্থ্যসচিব কথা বলেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। সারা রাজ্য জুড়ে ৪০০ অ্যাম্বুলেন্স কাজ করছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের ২০০ সেফ হোমে ১১ হাজার বেড রয়েছে। যাদবপুরের কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে সেফ হোম তৈরি করা হচ্ছে। অন্যদিকে আগেরবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে সেফ হোম তৈরি করা হলেও এবার ভোটের কারণে তা গিয়েছে কমিশনের হাতে। একই পরিস্থিতি সল্টলেক স্টেডিয়ামও। এছাড়াও নির্বাচন কমিশন অনেক সরকারি বাড়ি নিয়েছে। না হলে সেগুলিতেও সেফ হোম তৈরি করা যেত। রাজ্যে আটদফায় করা নির্বাচন নিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনও হয়তো নির্বাচনের দিন নির্দিষ্ট করার সময় করোনার কথা বুঝতে পারেনি।