
রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে মমতার মন্তব্যের কড়া নিন্দা কংগ্রেস- সিপিএমের
বিজেপি রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে দ্রৌপদী মুর্মুর নাম আগেই জানিয়ে দিলে তৃণমূল কংগ্রেস অন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারত ৷ হুল দিবসে জঙ্গলমহলে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় রাজনৈতিক মহলে ৷ এমনকী আদিবাসী-দলিতরা ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপালের সঙ্গেই রয়েছেন ৷ এমনই বার্তা দিয়ে দ্রৌপদী মুর্মুর জয়ের ইঙ্গিতও দেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ মূলত মমতার উদ্যোগেই দেশের 17টি অ-বিজেপি দল যশবন্ত সিনহাকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের পর এহেন মন্তব্যে বিরোধীদের চক্ষুশূল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ৷ রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী নিয়ে মমতার মন্তব্যের শুক্রবারের বক্তব্যের কড়া জবাব দিল বাম-কংগ্রেস। বিরোধী ঐক্যকে ভেঙে ফেলতেই উদ্যোগী হয়েছেন মমতা ৷ এমনই অভিযোগ করলেন অধীর চৌধুরী, সুজন চক্রবর্তীরা ৷ এদিন ইটিভি ভারত-কে অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “দ্রৌপদী মুর্মু প্রার্থী হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেছিলেন। তখন কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতে পারেননি তিনি একজন মহিলা ? এখন এসব ঢং’য়ের কথা বলে লাভ নেই। আমি অনেক আগেই সতর্ক করেছিলাম যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদি-বিরোধী নন। মোদি-বিরোধী জোটের কাছে তিনি গ্রহণযোগ্য নন। তা আবারও প্রমাণ হয়ে গেল। আমি আবারও সতর্ক করতে চাই ৷ একই সুরে সুজন চক্রবর্তী বলেন, “থলে থেকে বিড়াল বেরিয়ে এসেছে। বিজেপির বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধীতা স্পষ্ট নয়, তা আরও একবার প্রমাণিত। তিনি দ্বিচারিতায় ভোগেন। সবদিকেই থাকতে চান। বিরোধী রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী নির্বাচনে যিনি নিজেকে সবথেকে বড় বিরোধী হিসেবে দাবি করেছিলেন, এখন দেখা যাচ্ছে তিনিই বিরোধীদের সবথেকে বড় বিরোধী ৷ তিনি বিশ্বাসযোগ্য বিজেপি বিরোধী দল নন।