
দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাককে পিছন থেকে পুণ্যার্থীবাহী গাড়ির ধাক্কায় মৃত ৬
শুক্রবার ভোর 3টে 15 মিনিট নাগাদ বিহারের ভোজপুর জেলায় মহাকুম্ভ মেলা থেকে ফেরার পথে পুণ্যার্থীবাহী চারচাকা গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাককে পিছন থেকে ধাক্কা মারে ৷ সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই জোরাল ছিল যে, চারচাকাটি একেবারে দুমড়ে-মুচড়ে যায় ৷ চাকা খুলে 20 ফুট দূরে চলে যায় ৷ দুর্ঘটনাস্থলে মৃত 6 জনের দেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে ৷ মৃতরা সকলেই একই পরিবারের ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এদিন ভোজপুরের জগদীশপুরের দুলহিনগঞ্জ পেট্রল পাম্পের কাছে ভোর সোয়া তিনটে নাগাদ জোরে আওয়াজ হয় ৷ বিকট আওয়াজ পেয়ে তাঁরা তখন দেখতে যান কী হয়েছে, তখনই চোখ কপালে ওঠে তাঁদের ৷ স্থানীয়রা দেখেন যাত্রীবাহী একটি গাড়ি ট্রাককে ধাক্কা মেরেছে ৷ সংঘর্ষের জেরে গাড়িটির এমন অবস্থা, যে তা দেখে বিন্দুমাত্র বোঝার উপায় নেই সেটি একটি যানবাহন ৷ ঘটনাস্থলেই 6 জনের মৃত্যু হয়, রক্তে ভাসে রাস্তা ৷ স্থানীয়রা আরও জানিয়েছেন, গাড়ির চালক, সম্ভবত ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে গাড়িটি ও দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পরই চালক পলাতক । তারা আরও জানান, সংঘর্ষে গাড়ির চাকা 20 ফুট দূরে পড়ে ছিল ৷ স্থানীয়রা তাঁদেরকে উদ্ধারের কাজে হাত লাগান ৷ খবর পাওয়ার মাত্রই জগদীশপুর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। জগদীশপুর থানার সাবইন্সপেক্টর আফতাব খান বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, গাড়িটি দ্রুত গতিতে আসছিল ৷ আরা মোহানিয়ায় একটি ট্রাক দাঁড়িয়েছিল ৷ পিছন থেকে গাড়িটি এসে ট্রাকটিকে ধাক্কা দেয় ৷ মিনিট পাঁচেকের মধ্যে 6 জন যাত্রী মারা যান ৷ মৃতরা সকলেই পটনার বাসিন্দা ৷ তিনি আরও বলেন, “নিহতদের মধ্যে চারজন মহিলা এবং দুইজন পুরুষ ৷ তাঁরা হলেন, সঞ্জয় কুমার (62), করুণা দেবী (58), লাল বাবু সিং (25), প্রিয়া কুমার (20), আশা কিরণ (28) এবং জুহি রানি (25)। খবর দেওয়া হয় পরিবারে ৷ তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদের শনাক্ত করেন। যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁরা সকলেই একই পরিবারের সদস্য। মহাকুম্ভ থেকে স্নান সেরে সকলে ফিরছিলেন।” পেট্রল পাম্পের একজন কর্মচারী বলেন, “দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছতে আমাদের মাত্র পাঁচ মিনিট সময় লাগে। দুর্ঘটনাটি ভয়াবহ। আমরা যখন সেখানে পৌঁছয়, তখন সকলেই মারা গিয়েছেন ৷”