
রাজ্য সরকারের মুকুটে নয়া পালক! শিক্ষাক্ষেত্রে ‘স্কচ’ স্বীকৃতি পেল বাংলা
শিক্ষায় স্বীকৃতি রাজ্যের। স্টার অব গভর্নেন্স- স্কচ “অ্যাওয়ার্ড পেল রাজ্যের শিক্ষা দফতর।১৮ ই জুন নয়াদিল্লিতে এই সম্মান তুলে দেওয়া হবে রাজ্যকে। আজই এই সুখবর জানানো হল রাজ্যকে। সারা দেশের সবকটি রাজ্যের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রথম স্থান অধিকার করেছে “স্কচ স্টেট অফ গভর্নেন্স রিপোর্ট ২০২১” এই ক্যাটাগরিতে। তার জন্যই এই সম্মান দেওয়া হয়েছে রাজ্যের শিক্ষা দফতরকে। এর আগেও রাজ্য একাধিক বিভাগে কাজের জন্য স্কচ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। রাজ্যের অর্থ দফতর থেকে শুরু করে নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরও পেয়েছে এই স্কচ আওয়ার্ড। এবার রাজ্যের শিক্ষা দফতর ২০২১ সালের কাজের জন্য এই সম্মান পাচ্ছে। আজই আনুষ্ঠানিকভাবে রাজ্যকে আমন্ত্রণ জানান হল দিল্লিতে এই সন্মান নেওয়ার জন্য। মূলত বিভিন্ন ফিল্ড রিপোর্ট, বুনিয়াদি শিক্ষা, রাজ্যের শিক্ষা নিয়ে ফিডব্যাকের ওপর নির্ভর করে এই সম্মান দেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, করোনাকালে ভাল কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ইতিমধ্যেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্কচ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে রাজ্যের শিক্ষা এবং পর্যটন দফতর। করোনার সময়ও পড়ুয়াদের জন্য ভালো কাজ করা ও শিক্ষা বিস্তারের স্বীকৃতি স্বরূপ রাজ্যের শিক্ষা দফতর পেয়েছে এই আন্তর্জাতিক পুরস্কার। রাজ্যের স্কুলশিক্ষা ও উচ্চশিক্ষা দুটি বিভাগই সেরার তকমা পেয়েছে।এই মুহূর্তে শিক্ষা দফতরের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ‘স্কচ’ পুরস্কার প্রাপ্তির খবরে অত্যন্ত খুশি রাজ্যের শিক্ষা দফতর। সাধারণত, মন্ত্রী বা বিভাগের প্রধান ব্যক্তিগতভাবে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন। ২০২০ সালে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রকের মাননীয় মন্ত্রী ডঃ শশী পাঞ্জা মহিলা ও শিশু উন্নয়ন বিভাগের হয়ে রাজ্যের জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেন। এবার সেক্ষেত্রে ব্রাত্য বসুর এই পুরস্কার নিতে দিল্লি যাওয়ার সম্ভাবনা আগামী ১৮ জুন। তবে এবারই প্রথম নয়। তাছাড়া শুধু রাজ্যের শিক্ষা দফতরই নয়, স্কচ গোল্ডেন পুরস্কার পেয়েছে রাজ্যের পর্যটন দফতরও। এর আগে রাজ্য সরকারের একাধিক দফতর ও একাধিক প্রকল্প আন্তর্জাতিক স্বীকতি পেয়েছে। জাতীয় স্তরেও সেরার পুরস্কার পেয়েছে বাংলা।