দীর্ঘ প্রায় ১১ ঘণ্টা তল্লাশির পর অবশেষে তাপস রায়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল ইডি

বাড়িতে ইডি-র ম্যারাথন তল্লাশি শেষ। দীর্ঘ প্রায় ১১ ঘণ্টা তল্লাশির পর অবশেষে তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল ইডি৷ তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তাপস রায় বললেন, ‘আমার রাজনৈতিক জীবনে কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্তি ছিলামও না, আজও যুক্ত নই’ । পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির নজরে এবার বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়। আজ, শুক্রবার ভোরে বউবাজারের বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের বাড়ি ঢোকেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর সংস্থার আধিকারিক। যখন বেরোন, ততক্ষণে সন্ধে নেমেছে। ১১ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে তল্লাশি।বাড়িতে কেন ইডি? তাপস রায় বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, এটা কোনও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলে — রাজনীতি করি বলে হয়তো ওরা এসেছিল। আমার মোবাইলটা নিয়ে গিয়েছে। আর গোটা চার-পাঁচটা কাগজ  নিয়ে গিয়েছে’। বিধায়কের কথায়, ‘আমার কাছে সকলে আসে না, বলে না, আমাকে একটু দেখে দেবেন। পায়ে-হাত ধরে কান্নাকাটি করে, বাবা, মা, স্ত্রী, ছেলের জন্য়। বায়োডেট বা কললেটার নিয়ে, দেখে দেবেন, করে দেবেন। সেই ধরণের কিছু কাগজ পেয়েছে। বহু পুরানো’। তাপস জানান, ‘সকাল থেকে ওরা যে ক’জন এসেছিল, যা যা দেখার দেখেছে। যা যা চেয়েছে, যা যা বলেছে। আমাকে তেমন কিছু জিজ্ঞাসা করেনি। নির্দিষ্টভাবে কিছু জিজ্ঞাসা করেনি’। তাহলে কি রাজনৈতিক কারণেই হেনস্থা? জবাব, ‘আমি বললে অন্যরকম শোনাবে। আমি বলব না। আমার দল, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তারা বলবে। আমি বললে সবাই ভাববে, সকলেই বলে আমিও বলছি’। তাপস রায় ছাড়াও এ দিন সকাল থেকে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু এবং উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি৷