ব্রিগেডে মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রাণে মারার হুমকি দিলেন মিঠুন!

রাজনীতিতে নামলেই কি প্রতিপক্ষকে কদর্য আক্রমণ করতে হয়? ব্রিগেডের মাঠে দাঁড়িয়ে বিজেপির মঞ্চ থেকে প্রাণে মারার হুমকি! এটা অপ্রত্যাশিত ও চরম নিন্দাজনক। বাঙালি কী এই হুমকি ধমকি মেনে নেবে? প্রশ্নটা কিন্তু উঠেই গেল এদিন ব্রিগেডের সভা থেকে আর আরও লজ্জাজনক যে হুমকিটা বাংলা তথা বাঙালিকে দিলেন বাংলার সেই ছেলে যাকে নিয়ে আজও গর্ব করে বাঙালি। মিঠুন চক্রবর্তী আজও বাঙালির হৃদয়ে। অথচ সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তিনি ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে প্রাণে মারার হুমকি দিলেন বাংলা আর বাঙালিকে, ‘এক ছোবলে ছবি। কেউ পালাতে পারবে না। মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে। আমি জলঢোড়াও নয়, বেলোবোড়াও নই। আমি একটা কোবরা। আমি জাত গোখরো। এক ছোবলে ছবি। এ বার কিন্তু সেটাই হবে।’ এ লজ্জা কোথায় রাখবে বাঙালি! মিঠুন চক্রবর্তীর রাজনৈতিক রঙ পরিবর্তন নতুন কোনও ঘটনা নয়। বাম জমানায় তিনি ছিলেন বামপন্থী। পরিবর্তনের পরে তিনি হলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। তারপর কখনও কোমরে ব্যাথা, কখনও পিঠে ব্যাথা, কখনও শরীর খারাপের বাহানা দেখিয়ে এড়িয়ে গেলেন তৃণমূলের সব সভা, মিছিল, কর্মসূচি। আর এদিন এলেন বিজেপির মঞ্চে। আর এসেই দিয়ে দিলেন প্রাণে মারার হুমকি। ঘরের ছেলেই যদি ঘরের লোককে প্রাণে মারার হুমকি দেয় তখন কেমন লাগে? বাঙালি এই হুমকি ধমকিকে কীভাবে নেবে সেটা আগামীদিনে বিজেপির ভোটপ্রাপ্তির বহরই দেখিয়ে দেবে। কিন্তু ভোট যখন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে তখন ব্রিগেডের মাঠে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় দাঁড়িয়ে বাংলা আর বাঙালিকে খুন করার হুমকি ধমকি দিয়ে ‘মহাগুরু’ কী প্রমাণ করতে চাইলেন তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে।

error: Content is protected !!