অসমে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের পরে খুন

অষ্টম শ্রেণির এক কিশোরীকে ধর্ষণ করার পরে খুন করে দেহ নদীতে ছুড়ে ফেলল ধর্ষক। নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে কামরূপ জেলায়। তদন্তে নেমে পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে। জেরার মুখে ধৃত অটোচালক অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছে বলে তদন্তকারীরা দাবি করেছেন। জানা গিয়েছে, কামরূপ জেলার বাসিন্দা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ওই কিশোরী গত সোমবার মোবাইল ফোন রিচার্জের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও বাড়িতে ফেরেনি। উদ্বিগ্ন পরিবারের সদস্যরা কিশোরীর নিখোঁজের খবর পুলিশকে জানান।মিসিং ডায়েরি করে দায়িত্বে ইতি টানেন সোনারপুর থানার আধিকারিকরা। অবশেষে গত শুক্রবার স্থানীয় দিগারু নদীতে ভাসতে দেখা যায়। মরেদেহ উদ্ধারের পরেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তে ধরা পড়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশের পরেই ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা।  ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। অবিলম্বে আপরাধীকে ধরে ফাঁসিতে ঝোলানোর দাবি জানিয়ে সোনারপুর থানা ঘেরাও করেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত টনক নড়ে পুলিশ আধিকারিকদের। বিভিন্ন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সূত্র ধরে ওই নৃশংস ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে এক অটোচালককে গ্রেফতার করে।

error: Content is protected !!