
কালিয়াগঞ্জের ঘটনার পেছনে দিল্লির চক্রান্ত, পরিকল্পনা মাফিক থানায় হামলা হয়েছে: মুখ্যমন্ত্রী
থানায় তাণ্ডব চলছে গতকাল। কালিয়াগঞ্জ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল আরও একবার। আন্দোলনের নামে কার্যত দুষ্কৃতী হামলা চলেছিল। বুধবার প্রশাসনিক বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘দিল্লির চক্রান্ত’। তাঁর দাবি, পরিকল্পনা মাফিক থানায় হামলা হয়েছে। তাণ্ডব আটকাতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ। তাই পুলিশকেও এদিন তীব্র তিরস্কার করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, দলমত নির্বিশেষে অপরাধীদের গ্রেফতার করা হোক। পুলিশের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করবেন বলেও ডিজিকে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, এভাবে কেন নাবালিকার দেহ নিয়ে যাবে পুলিশ? উল্লেখ্য, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৪ এএসআই’কে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এভাবে দেহ নিয়ে যাওয়া ঠিক হয়নি। বলেন, তবে দেহ আনার সময় পুলিশদের লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হচ্ছিল। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এবার থেকে দেহ আনার জন্য প্রতি থানাকে ১০টি করে বিশেষ ব্যাগ দেওয়া হবে। তাঁর প্রতিশ্রুতি, কালিয়াগঞ্জের নাবালিকা এবং আক্রান্তদের পাশে আছে রাজ্য। কড়া নির্দেশ, কিশোরী মৃত্যু এবং থানায় হামলার আলাদা আলাদা তদন্ত হবে। তিনি বলেন, পুলিশদের ওপর নির্মম অত্যাচার চালানো হয়েছে। এমনকী ছাড় পাননি মহিলা পুলিশকর্মীরাও।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দিল্লি-গুজরাটের মতো জঙ্গলরাজ হতে দেব না’। দিল্লির চক্রান্তে এসব হয়েছে দাবি করে বলেন, বিহার থেকে লোক আনা হয়েছিল। আরও বলেন, যে রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় নেই, সেই রাজ্যেই বিজেপি চক্রান্ত করে এমন করে। ওদের বেশি টার্গেট বাংলা। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছেন মুখ্যসচিব এবং ডিজির কাছ থেকে। ফোন করে কথা বলেছেন উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের সঙ্গে। কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি রাজ্যপালের বিষয়ে কিছু বলব না। রাজ্যপাল কথা বলতেই পারেন’। কী করে নাবালিকা মৃত্যু? এই বিষয় তদন্তাধীন দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটা ভীষণ দুঃখ জনক ঘটনা। আমি কিছু হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট দেখেছি। কিছু প্রেম ঘটিত ব্যাপার রয়েছে’।