কোচবিহারে শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত ৪ তৃণমূল কর্মী, আহত ৪

নির্বাচন কমিশনের কড়া নজরদারিতে ভোটগ্রহণ পর্ব চললেও বিক্ষিপ্ত অশান্তি লেগেই রয়েছে বিভিন্ন বুথে। কোচবিহারের শীতলকুচির জোড় পাটকিতে চলল গুলি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের গুলিতে প্রাণ হারালেন ৫ জন। আর আহত হলেন ৪ জন। মোট ৮ জনের গুলি লেগেছে বলে দাবি। মৃতরা প্রত্যেকে তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। জানালেন তৃণমূল নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ১ জনের। বাকি ৪ জনকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওযা হয়। সেখানেই তাঁদের মৃত্যু হয় বলে খবর। সূত্রের খবর, মৃত ওই ব্যক্তিদের নাম হামিদুল হক, হামিনুল হক, মনিরুল হক, নূর আলম। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে গর্জে উঠেছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী বেছে বেছে আক্রমণ চালাচ্ছে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের উপর। আর এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারাল ৪ তৃণমূল কর্মী।  এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসে নির্বাচন কমিশন। দ্রুত অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় কমিশন। যে রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবের কাছে এসে পৌঁছয় তাতে উল্লেখ করা হয়েছে শীতলকুচির জোড় পাটকিতে ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে প্রায় ১০০ জনের জমায়েত ছিল। সেই জমায়েত হটাতে গেলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকেই আক্রমণ করতে এগিয়ে আসে একদল লোক। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বন্দুকও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে তারা। তাই আত্মরক্ষার্থে বাধ্য হয়ে গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে যথেষ্ট চাপানউতোর তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। ঘটনার পর পর সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল ৷ দোলা সেন জানান, নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী ৷ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তৃণমূল ৷ কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপির দালালি করছে বলেও অভিযোগ তোলে রাজ্যের শাসক শিবির ৷

error: Content is protected !!