লকডাউন হল শেষ বিকল্প, প্রয়োজনে কনটেনমেন্ট জোন করা যেতে পারে, জাতির উদ্দেশে বললেন প্রধানমন্ত্রী
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল দেশ। লাগাতার বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এহেন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার রাত ৮.৪৫ মিনিটে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্পষ্ট করে দিলেন, এখনই লকডাউনের সম্ভাবনা নেই দেশে। মোদির কথায়, ‘লকডাউন হল শেষ বিকল্প। প্রয়োজনে করোনা সংক্রমণ রুখতে কনটেনমেন্ট জোন করা যেতে পারে।’
মোদি মনে করিয়ে দিয়েছেন, দেশ এখন ভয়ঙ্কর কঠিন অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সাবধানতা অবলম্বনই সেরা উপায়। সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলা, বাড়ি থেকে বেরোলেই মাস্ক পরার উপর জোর দিয়েছেন মোদি। করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্যকর্মী সহ প্রথমসারির করোনা যোদ্ধাদের কুর্নিশ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে বারবার মোদির কথায় উঠে এসেছে, ‘দেশ কঠিন সময়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে। কঠিন চ্যালেঞ্জ।’ তবে মোদির আশা গতবারের মতো এবারও কঠিন চ্যালেঞ্জে উত্তীর্ণ হবে ভারত।
গোটা দেশে অক্সিজেনের সঙ্কট চলছে। মোদি বলেছেন, ‘অক্সিজেনের যোগান বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে।’ দ্রুত এই সমস্যা মিটবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন মোদি। পাশাপাশি টিকাকরণের উপর জোর দিয়েছেন। এই কঠিন সময়ে কেন্দ্র ও রাজ্যকে হাত মিলিয়ে কাজ করার আবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন রাজ্যের কাছে মোদির নির্দেশ, ‘পরিযায়ী শ্রমিকদের দিকে নজর দিন। এখন রাজ্যের বাইরে কাউকে যেতে দেবেন না। যারা অন্য রাজ্য থাকে আসছেন, তাদের দিকেও নজর দিন।’ বিভিন্ন ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি যোগান বাড়াতে শুরু করেছে। তাই দেশবাসীকে অহেতুক চিন্তা না করে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মোদি। পাশাপাশি মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘গতবারের অভিজ্ঞতা ভয়ঙ্কর। ফের কঠিন সময় এসেছে। কিন্তু মাথা ঠাণ্ডা রেখে সবাইকে এগোতে হবে। সচেতন হতে হবে।’ যদিও একদিন আগেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছিলেন, লকডাউন বা কারফিউ করে কোনও লাভ হবে বলে মনে করি না। জনগণকে সচেতন হতে হবে। এদিন মোদির গলাতেও শোনা গেল একই সুর।