বাংলার বরাদ্দ অক্সিজেন উত্তর প্রদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার, এরা বাংলাকে ভাতে মারতে চায়ঃ মুখ্যমন্ত্রী

সকলে মাস্ক পরে ও দূরত্ববিধি মেনে ভোট দেন

 করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তৃণমূল নেত্রীর কটাক্ষ, ‘‘শুধু ভাষণ দিলে হবে না ৷ কাজ করতে হবে ৷’’ অক্সিজেন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের বরাদ্দ অক্সিজেন নিয়ে চলে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ বদলে তা দেওয়া হচ্ছে উত্তর প্রদেশকে৷ নির্বাচন কমিশনের তরফে প্রচারে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে করোনা পরিস্থিতির জেরে ৷ তাই আজ, শুক্রবার কোনও সভা না করে ভার্চুয়াল মাধ্যমকে ব্যবহার করে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনী প্রচার সারেন ৷ পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর থেকে তৃণমূল নেত্রী বার্তা দেন দলের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ৷ করোনা পরিস্থিতিতে সকলে যাতে মাস্ক পরে ও দূরত্ববিধি মেনে ভোট দেন, সেই বিষয়টিও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ আর তার সঙ্গেই করোনা পরিস্থিতি, দেশে অক্সিজেনের আকাল নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তিনি ৷ একই সঙ্গে মমতার দাবি, করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণের জেরে দেশের যে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার জন্য দায়ী কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতা ৷ কারণ, গত ৭ মার্চ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন বলেছিলেন করোনা চলে যাচ্ছে ৷ এর থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘তার মানে ওদের (কেন্দ্র) কোনও পরিকল্পনা ছিল না ৷’’ করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণের জেরে দেশজুড়ে অক্সিজেনের সংকট তৈরি হয়েছে৷ এর দায়ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘাড়েই চাপিয়েছেন ৷ তাঁর দাবি, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ২০২০ সাল থেকে অক্সিজেনের উৎপাদনের কথা বলা হয়েছে ৷ অথচ প্রধানমন্ত্রী কোনও বৈঠকে অক্সিজেন তৈরির বৃদ্ধি করার বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি ৷ কোনও পরিকল্পনা করা হয়নি বলে অভিযোগ তৃণমূল নেত্রীর ৷ মমতা দাবি, বাংলায় করোনা ছড়ানোর দায় বিজেপির ৷ তাঁর অভিযোগ, বাইরের লোক এখানে পড়ে আছে ৷ এতে সংক্রমণ বাড়ছে ৷ তবে প্রচার নিয়ে এই নিষেধাজ্ঞা নির্বাচন কমিশন এর আগেও দিতে পারত বলে তাঁর দাবি ৷ তাঁর অভিযোগ, ‘‘আগেও কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিতে পারত৷ প্রধানমন্ত্রীর মিটিং ছিল বলে করেনি ৷ কমিশন বিজেপির কথায় চলে ৷’’