কনটেনমেন্ট জোন নিয়ে রাজ্যকে নির্দেশিকা কেন্দ্রের

সব রাজ্যগুলিকেই কোভিডের প্রকোপ কমাতে মিনি কনটেনমেন্ট জোন গড়ার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। সেই সঙ্গে কেন্দ্রের তরফে এই রাজ্যগুলির জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকাও জারি করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেহেতু লকডাউন চাইছেন না তাই ভোট মিটলেই কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার মতো জেলায় যেখানে কোভিডের সংক্রমণ চরম আকার নিয়েছে সেখানে কেন্দ্রের এই নির্দেশিকা মেনে মিনি কনটেনমেন্ট জোন গড়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হতে পারে। মিনি কনটেনমেন্ট জোন গড়তে কেন্দ্র সরকার যে গাইডলাইন পাঠিয়েছে রাজ্যগুলিকে সেখানে ১০ দফা নির্দেশিকা রয়েছে।

🟢 সংক্রমিত এলাকায় লকডাউন চালু করা বা কন্টেনমেন্ট জোন তৈরির সময়সীমা কমপক্ষে ১৪ দিনের হতে হবে।

🟢 এক বার কোনও এলাকা কন্টেনমেন্ট জোন বলে ঘোষিত হলে সেখানে রাত্রিকালীন কার্ফু জারি করতে হবে। ওই সময়ের মধ্যে জরুরি পরিষেবা ছাড়া অন্য কোনও ক্ষেত্র ছাড় পাবে না।

🟢 কন্টেনমেন্ট জোনে সমস্ত সামাজিক, রাজনৈতিক, বিনোদন বা শিক্ষামূলক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান অথবা জমায়েত নিষিদ্ধ করতে হবে।

🟢 কন্টেনমেন্ট জোনের মধ্যে বিয়ের অনুষ্ঠান এবং শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে অতিথি সংখ্যা যথাক্রমে ৫০ ও ২০ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।

🟢 ওই এলাকায় শপিং মল, সিনেমা হল, রেস্তরাঁ, জিমন্যাসিয়াম, স্পা, সুইমিং পুল এবং ধর্মীয় স্থল বন্ধ থাকবে।

🟢 এছাড়াও বলাও হয়েছে, কন্টেনমেন্ট জোনে কেবলমাত্র সরকারি ও বেসরকারি জরুরি পরিষেবা ছাড় পাবে। ছাড় পাবে ট্রেন, মেট্রো, বাস বা ট্যাক্সির মতো গণপরিবহণ ব্যবস্থাও। তবে সেক্ষেত্রে এই প্রতিটি যানবাহন কার্যত অর্ধেক যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করবে।

🟢 আন্তঃরাজ্য অথবা এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ছাড় পাবে। নবমত, কর্মীসংখ্যার অর্ধেক নিয়ে অফিস খোলা রাখা যাবে। তবে চেষ্টা করতে হবে যত বেশি সম্ভব ওয়ার্ক ফ্রম হোমে জোর দিতে।

🟢 শিল্প সংস্থাগুলিতে মাঝেমধ্যেই কর্মীদের কোভিড পরীক্ষা করতে হবে। কাজের ক্ষেত্রে জোর দিতে হবে স্যানিটাইজেশন, শারীরিক দূরত্ববিধি ও মাস্কের ব্যবহার।

error: Content is protected !!