করোনা সংকট আসলে জাতীয় বিপর্যয়, এই সময় রাজনৈতিক লড়াই করা উচিত নয়, মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের
করোনা সংকট আসলে জাতীয় বিপর্যয় ৷ এই সময় রাজনৈতিক লড়াই করা উচিত নয় ৷ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট একটি মামলার শুনানির সময় এমনই মন্তব্য করেছে ৷ একই সঙ্গে দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এখন দেশের প্রতিটি নাগরিকের প্রাণরক্ষা করা আদালতের দায়িত্ব ৷ আদালতের এখন দেশের পাশে থাকা উচিত ৷ আদালত সূত্রে খবর, যে বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হয়, সেই বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ৷ তিনি শুনানি চলাকালীন মন্তব্য করেছেন, ‘‘এখন জাতীয় সংকট চলছে ৷ মানুষ মারা যাচ্ছে….. ৷ আমাদের স্থানীয় সম্প্রদায়কে আমাদের পাশে রাখতে হবে ৷’’ প্রসঙ্গত, মামলাটি করেছিল তামিলনাড়ু সরকার ৷ তাদের অভিযোগ ছিল যে ওই প্ল্যান্টের কর্তৃপক্ষ অয়েল-টু-মেটালস কংগ্লোমেরেট বেদান্ত লিমিটেডকে কেন্দ্রীয় সরকার সাহায্য করছে ৷ যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে শুনানিতে বিষয়টি অস্বীকার করা হয় ৷ সেই মামলার শুনানিতেই এই পর্যবেক্ষণ জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ একই সঙ্গে তামিলনাড়ুর স্টারলাইট সংস্থাকে অক্সিজেন প্ল্যান্ট চালু করার অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ করোনা সংক্রমণের জেরে বর্তমানে যে সংকটজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার প্রেক্ষিতেই আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে বলে খবর ৷ অন্যদিকে, এই পরিস্থিতিতে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে চায় না সুপ্রিম কোর্ট ৷ সেটাই এদিন স্পষ্ট করেছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, কিছু জাতীয় বিষয় রয়েছে ৷ যেগুলি সুপ্রিম কোর্টকেই সামলাতে হবে ৷ আর এই জাতীয় সংকটের সময় সুপ্রিম কোর্ট নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে পারে না ৷ আদালত জানিয়েছে, করোনা সংক্রান্ত কোনও মামলার শুনানিতে হাই কোর্টগুলিকে আটকানো হচ্ছে না ৷ বরং হাই কোর্টগুলি কোনও সমস্যায় পড়লে শীর্ষ আদালত সাহায্য করবে ৷ প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে করোনা পরিস্থিতিতে অক্সিজেন, ওষুধ, ভ্যাকসিন ও অন্যান্য সরবরাহের বিষয়ে সারা দেশের মামলা একসঙ্গে গ্রহণ করার পরিকল্পনা করে সুপ্রিম কোর্ট ৷ এই বিষয়ে জাতীয় পরিকল্পনা তৈরি প্রয়োজন বলেও জানায় শীর্ষ আদালত ৷ তার পর একটা সমস্যা তৈরি হয় যে হাই কোর্টগুলিও কি একই ধরনের মামলা গ্রহণ করবে ? এদিন সেই বিষয়টিই স্পষ্ট করে দিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে অক্সিজেনের সরবরাহ, কোন রাজ্যে কত চাহিদা ও সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে বলেছে ৷ আগামী শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৷