সমপ্রেমী বিয়েতে আইনি স্বীকৃতি না-দেওয়ার রায় পুনর্বিবেচনার আর্জিকে খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট

সমপ্রেমী বিয়েতে আইনি স্বীকৃতি না-দেওয়ার রায় পুনর্বিবেচনার আর্জিকে খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ এর ফলে ২০২৩ সালে এই নিয়ে যে রায় ছিল, সেটাই আপাতত বহাল থাকছে ৷ বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ বিষয়টি বিবেচনা করেছে । বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিভি নাগরত্ন, পিএস নরসিংহ, দীপঙ্কর দত্তের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তার আদেশে বলেছে, “আদালতে যে রিভিউ পিটিশন(গুলি) তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন করা হয়েছিল, সেগুলি খারিজ করা হল ৷” বেঞ্চ বলেছে, “বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট (প্রাক্তন বিচারপতি) তাঁর নিজের বক্তব্য ও বিচারপতি হিমা কোহলি (প্রাক্তন বিচারপতি) কর্তৃক প্রদত্ত যে রায় দিয়েছিলেন, যা সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামত গঠন করে, আমরা তা খুব ভালো ভাবে পর্যালোচনা করেছি ।” তাঁদের সামনে যে রেকর্ড রয়েছে, তাতে কোনও ত্রুটি স্পষ্টভাবে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ । তাদের কথায়, “আমরা কোনও ত্রুটি স্পষ্টভাবে খুঁজে পাইনি । আমরা আরও দেখতে পেয়েছি যে, ওই রায় আইন অনুসারে যথাযথভাবেই দেওয়া হয়েছিল এবং তাই, তাতে কোনও হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই । সেই অনুযায়ী রিভিউ পিটিশন খারিজ করা হয়েছে ।” বেঞ্চ তার নির্দেশে জানিয়েছে, যদি কোনও আবেদন এখনও থেকে থাকে, তবে তা খারিজ করা হল ৷ বিচারপতিরা তাঁদের চেম্বারে রায় পর্যালোচনার আর্জি জানিয়ে করা পিটিশনগুলি বিবেচনা করেন । এই ইস্যুর সঙ্গে জনস্বার্থ জড়িয়ে থাকায়, উন্মুক্ত আদালতে শুনানির জন্য গত বছর জুলাই মাসে আবেদন জানিয়েছিলেন আবেদনকারীরা । এসকে কৌল, এস রবীন্দ্র ভাট, প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি কোহলির অবসর গ্রহণের পর একটি নতুন বেঞ্চ পুনর্গঠন করা হয় । বর্তমান প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না গত বছর নিজেকে এই মামলা থেকে সরিয়ে নেন ৷ ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে শীর্ষ আদালত রায় দিয়েছিল যে, সমপ্রেমী দম্পতিদের আইনি স্বীকৃতি দিচ্ছে না আদালত ৷ শীর্ষ আদালত বলে যে, শুধুমাত্র সংসদ এবং রাজ্য আইনসভাই তাদের বৈবাহিক সম্পর্ককে বৈধতা দিতে পারে ।

error: Content is protected !!